পাকিস্তানের দেওয়া ১৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়েছে ভারত। পাওয়ার প্লেতে হারিয়েছে ৩ উইকেট।
ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল ভারতীয় বোলারদের দাপট। সেই দাপটে মাত্র ১৫ রানে দুই উইকেট হারায় পাকিস্তান। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করেন ইফতিখার আহমেদ।
মূলত তার ৩৪ বলে করা ৫১ রানের ইনিংস শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে ১৫৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেয়। জিততে হলে ভারতকে করতে হবে ১৬০ রান।
রবিবার (২৩ অক্টোবর) মেলবোর্ন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। ভুবনেশ্বর-অর্শদীপরা আষ্টে পিষ্টে রাখে বাবর আজমদের। প্রথম ওভারে পাকিস্তান তুলতে পারে মাত্র ১ রান। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই অধিনায়ক বাবর আজম ফেরেন সাজ ঘরে।
অর্শদীপ সিংয়ের দুর্দান্ত এক ডেলিভারি বাবরের প্যাডে লাগলে আবেদন হয়, আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। পাকিস্তান দলপতি অবশ্য রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। ১ বল খেললেও কোনো রানই তিনি যোগ করতে পারেননি।
দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয় ১৫তম রানে। অর্শদীপ সিংয়ের বলে ফাইন লেগ বাউন্ডারিতে ভুবনেশ্বরকে ক্যাচ দেন রিজওয়ান। তিনি করেন ১২ বলে ৪ রান। পাওয়ার প্লেতে আর উইকেট না গেলেও স্কোরে যোগ হয় মাত্র ৩২ রান।
এরপর শান মাসুদ আর ইফতিখার আহমেদ উইকেটে টিকে থাকতে প্রাণান্তকর চেষ্টা করেন। তাদের চেষ্টায় ১০ ওভারে পাকিস্তানের স্কোর হয় ৬০ রান।
১২তম ওভারে ইফতিখারের হাকান তিন ছক্কা। ওই ওভারেই করেন ২১ রান। শুধু তাই নয়; ৩২ বলে ফিফটিও করেন ওই ওভারেই।
তবে তিনি আর বেশি সময় ক্রিজে টিকতে পারেননি। পরের ওভারেই মোহাম্মদ শামির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরন তিনি। ৩৪ বলের ইনিংসে ইফতিখার করেছেন ৫১ রান। এই ইনিংসে ২টি ৪ ও ৪টি ছক্কার মার ছিল।
ইফতিখার ফেরার পর দ্রুত আরও কয়েকটি ইউকেট হারায় পাকিস্তান। এরমধ্যে শাদাব খান (৫), হায়দার আলি (২), মোহাম্মদ নওয়াজ (৯) আর আসিফ আলি (২) ফেরেন সাজঘরে। ২৯ রান তুলতেই ৫টি উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে পাকিস্তান।
শেষদিকে লোয়ার অর্ডারের শাহিন শাহ আফ্রিদি ৮ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ১৬ আর হারিস রউফ ৪ বলে ১ ছক্কায় করেন ৬।
৪২ বলে করেন ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন শান মাসুদ।
ভারতের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া আর অর্শদীপ সিং।